বর্তমান সময়ে লিভার ডিটক্স বা যকৃৎ পরিষ্কার করার পণ্যের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে হাটবাজার পর্যন্ত। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখতে বাইরে থেকে কোনো বিশেষ ডিটক্স ডায়েট বা সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন নেই। লিভার নিজেই একটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন সিস্টেম হিসেবে কাজ করে।
লিভার সুস্থ রাখতে খাদ্য ও জীবনধারার পরামর্শ:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রচুর ফল, সবজি, শস্য এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করতে হবে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনি ও লবণ এড়িয়ে চলা উচিত।
অ্যালকোহল পরিহার: অতিরিক্ত অ্যালকোহল লিভারের জন্য ক্ষতিকর।
নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্থূলতা লিভারের ক্ষতি করে, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
ডিটক্স পণ্য ও সাপ্লিমেন্টের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। উদ্ভিদ মিল্ক থিসল, আদা, রসুন ও গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। বিটরুটে থাকা বিটালেইন লিভারের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য এনজাইমকে উদ্দীপিত করে। তবে অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
